যারা ইতালি যাবেন তাদের জানতে হবে ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩। আর আজ আমরা জানবো সেটি। পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করি।
ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩
ইতালিতে দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, ইতালি সিজনাল ভিসা এবং ইতালি নন সিজনাল বা স্পন্সর ভিসা। সিজনাল ভিসায় ইতালি যাওয়ার খরচ ৪-৫ লক্ষ টাকা এবং নন সিজনাল বা স্পন্সর ভিসায় ইতালি যাওয়ার খরচ হচ্ছে ১০-১৫ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও যারা স্টুডেন্ট তারা পড়াশোনা করার জন্য ইতালি যায়। আবার কেউ কেউ চিকিৎসা নিতে ইতালি যাচ্ছে। আপনি যে কোন কারণে ইতালি যান না কেন, ইতালি ভিসা খরচ সম্পর্কে আগে জানতে হবে। এছাড়াও কিভাবে ইতালি যাওয়া যায়, ইতালি কাজের ভিসা ও ইতালি যাওয়ার জন্য কি কি লাগবে এটাও জানতে হবে। ইতালি ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা দরকার।
সাধারণত ইতালির ভিসা কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। চলুন তাহলে সকল প্রকারভেদ জেনে নিব।
- ইতালি স্পন্সর ভিসা
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা
- ইতালি কৃষি ভিসা
- ইতালি মেডিকেল ভিসা
- ইতালি টুরিস্ট ভিসা
স্পনসর ভিসা
ইতালি প্রতিবছর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে অনেক জনশক্তি আমদানি করে। কারণ ইতালিতে কাজ করার মত মানুষের অনেক অভাব। এছাড়াও উন্নতশীল দেশ হয়েও দক্ষ কর্মীর সংখ্যা অনেক কম।
এ কারণে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালি কাজ করার জন্য শ্রমিক আমদানি করে। আমাদের দেশ থেকেও এ বছর ইতালি স্পন্সর ভিসা চালু করা হয়েছে।
ইতালি যাওয়ার আগে আপনাকে ইতালি ভিসা খরচ কত তা জানতে হবে। কারণ ইতালি যাওয়ার জন্য অনেক টাকার দরকার হয়। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান, তাহলে আপনাকে সরকারিভাবে ইতালি প্রবেশ করতে হবে।
এছাড়াও ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। আপনি যে কোম্পানির অধীনে ইতালি কাজ করবেন, সেই কোম্পানির অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। আর অবশ্যই ইতালি যাওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে করোনা মহামারীর জন্য ভ্যাকসিন নিতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা
উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি চাইলে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য ইতালি যেতে পারেন। ইতালিতে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য অনেক ডিগ্রি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।
আপনি যখন ইতালি স্পন্সর ভিসা পাবেন তখন আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু আপনি যখন স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইতালি যাবেন আপনার কিছু আলাদা ভাবে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। আপনাকে প্রথমে HSC পরীক্ষায় সন্তুষ্টজনক ফলাফল অর্জন করতে হবে। আপনার একটা বৈধ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
ধরুন আপনি ইতালি গিয়ে University of Bologna বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনাকে গ্রহণ করে। তাহলে University of Bologna আপনাকে একটা আমন্ত্রণপত্র দেবে। সেই আমন্ত্রণ পত্র ভিসা করার সময় জমা দিতে হবে।
এছাড়াও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এই কয়েকটা যোগ্যতা থাকলে আপনি ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা করতে পারবেন।
কৃষি ভিসা
কৃষি ভিসা হল কৃষি কাজের জন্য, তাহলে আপনি কৃষি বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আর কৃষি ভিসার জন্য বেশি অর্থ কিন্তু আপনাকে দিতে হবে না।
মেডিকেল ভিসা
বলতে গেলে ইতালিতে সব চাইতে বেশি ব্যয়বহুল বিষয় হচ্ছে এই মেডিকেল ভিসা। চিকিৎসার জন্য যদি আপনি ইতালিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে অধিক অর্থ প্রদান করতে হবে এবং তারপরই মেডিকেল ভিসা পাবেন।
টুরিস্ট ভিসা
যারা পড়ার জন্য শুধুমাত্র ইতালি যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সব চাইতে সেরা হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। টুরিস্ট ভিসা পেতে আপনাদের বেশি দেরি করতে হবে না এটি অন্যান্য ভিসার তুলনায় তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। তবে এটা সত্য যে অবশ্যই আপনাকে একটুখানি অর্থ বেশি দিতে হবে।
ইতালি ভিসা প্রসেসিং
ইতালিতে যেতে সর্বনিম্ন তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে। এবং আপনি জানলে অবাক হবেন এখানে কর্মসংস্থান কিন্তু খুব দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান সময়ে তাই বাংলাদেশি ভাইয়েরা অনেকে এখানে যাচ্ছে। তাই আপনি এখানে খুব সহজেই এখন ঘরে বসেই ইতালি ভিসা আবেদন করতে পারেন। তাহলে চলুন জানিয়ে দিচ্ছি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক
ইতালি ভিসা আবেদন করতে ভিজিট করতে হবে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায়। তারপরে এসে আবেদন মঞ্জুর হলে আপনার সকল প্রসেস কমপ্লিটের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন ইতালির ভিসা।
ভিসার আবেদন লিংক – https://visa.vfsglobal.com/bgd/bn/ita/apply-visa
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং তারপরে আপনি অনায়াসে আবেদন করতে পারবেন অনুসরণ করে।
ইতালি ভিসা আবেদন ফরম
ইতালি ভিসা আবেদন ফরম পেয়ে যাবেন https://visa.vfsglobal.com/bgd/bn/ita/ এই ওয়েবসাইটে। তাছাড়া এখানে গেলে বিস্তারিত সকল নিয়ম তারাই জানিয়ে দিয়েছে। তারপরেও আবেদন ফরম সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলছি।
ইতালি ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের বিএমইটি অথবা বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থিত সরকারি অথবা বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এই সমস্ত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আপনারা ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
ইতালির বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে সমস্ত কোম্পানি গুলো সাধারণত বছরের বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি যে সমস্ত এজেন্সিগুলো রয়েছে এগুলোর মাধ্যমেই লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি যদি আবেদন করে এবং তার অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে।
সর্বশেষঃ আশা করছি, উক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি ইতালি ভিসা খরচ এবং ভিসা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। আর ইতালিতে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ১০ লক্ষ টাকার মতো আগে গুছিয়ে রাখতে হবে। কেননা কাজের জন্য যদি যেতে চান তাহলে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। তবে অন্য কাজের ক্ষেত্রে গেলে কত লাগবে তা কিন্তু আমরা আলোচনা করেছি আজকের পোস্টে।