বর্তমান সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুবি জনপ্রিয়। যতই দিন যাচ্ছে ততই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলন বেড়েই চলেছে। আশা করা যাচ্ছে অতি দ্রুতই সকল দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের অনুমতি দেবে। যা বর্তমানের তুলনাই অনেক বেশি ক্রিপ্টো বাজার মূল্য বেড়ে যাবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত ক্রিপ্টো বাজারে নতুন নতুন কয়েন এবং টোকেন যুক্ত হচ্ছে। এসব নতুন ক্রিপ্টো কয়েন বা এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে দাড়িয়েছে।
অনেকে এসব ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কাজ করে নিজেদের বেকার সমস্যা দূর করছে পাশাপাশি দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আজকে আলোচনা করবো আপনারা কিভাবে এয়ারড্রপে কাজ করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন। বেশি কথা না বলে চলুন আলোচনা করে ফেলি এয়ারড্রপ সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে।
এয়ারড্রপ কি?
ক্রিপ্টো বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কয়েন বা টোকেন যুক্ত হয়। এসব কয়েন বা টোকেন ক্রিপ্টো মার্কেটে বাজার মূল্য ধরার জন্য ফ্রীতে কিছু কয়েন বা টোকেন পাবলিকদের দিয়ে থাকে, যাকে সাধারণত এয়ারড্রপ বলা হয়। এসব এয়ারড্রপের পেমেন্ট পাওয়ার জন্য কিছু কাজ করে দিতে হয়।
যারা এসব কাজ সঠিকভাবে করতে পারে তারা পেমেন্টের জন্য যোগ্য হয়। এসব কাজ বেশি কঠিন হয় না একদম সহজ হয়ে থাকে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করে দেওয়া এবং শেয়ার করে দেওয়া। যার বিনিময়ে এয়ারড্রপ দেওয়া প্রজেক্টগুলো এয়ারড্রপ পেমেন্ট দিয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে এয়ারড্রপ প্রজেক্টগুলো ভালো পরিমাণ পেমেন্ট করে থাকে তাদের এয়ারড্রপারদের। একটা এয়ারড্রপ পেমেন্ট থেকে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব সিম্পল কিছু কাজের জন্য।
এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম করবো কিভাবে?
ক্রিপ্টো এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি ইউটিউবের কিছু চ্যানেল ফলো করতে পারেন। অনেক ইউটিউবার তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত এয়ারড্রপ অফার শেয়ার করে থাকে। যেগুলো ফলো করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারেন।
তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো ইউটিউবার ফলো করতে হবে। আপনি যদি ভালো ইউটিউবার ফলো করে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে এয়ারড্রপ থেকে আয়ের গ্যারন্টি রয়েছে।
এয়ারড্রপে কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
সাধারণত ক্রিপ্টো এয়ারড্রপে কাজ করার জন্য সকল ধরনের সোশ্যাল একাউন্টের প্রয়োজন হয়। যে একাউন্টগুলোর মাধ্যমে সিম্পল ফলো শেয়ার করে এয়ারড্রপে পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব।
এয়ারড্রপে কাজ করার জন্য যেসব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো সবচেয়ে লাগবে – ১. Telegram ২. Twitter ৩. Facebook ৪. Instagram ৫. Medium ৬. Reddit ৭. Discord এসব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের মাধ্যমে এয়ারড্রপের কাজগুলো বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।
আপনারা যদি এয়ারড্রপে কাজ করতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে এসব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো করে নিবেন। তারপর কাজ করার জন্য একটা ভালো ইউটিউব চ্যানেল ফলো করবেন। আপনারা যদি এইভাবে কাজগুলো করেন তাহলে আপনারা এয়ারড্রপ থেকে আয় করতে পারবেন গ্যারান্টি দিচ্ছি।
এয়ারড্রপে কাজ করা জন্য কি কোন ইনভেস্ট লাগে?
একদম বিনা ইনভেস্টে কোন ধরনের এক্সট্রা টাকা খরচ না করে এয়ারড্রপ থেকে আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ কাজ করার জন্য কোনও ধরনের ইনভেস্টের প্রয়োজন পরে না। আপনারা যদি এয়ারড্রপ থেকে আয় করতে চান তাহলে শুধুমাত্র সঠিক নিয়ম এবং একজন ভালো এয়ারড্রপ শেয়ার করা চ্যানেল ফলো করবেন।
এয়ারড্রপ থেকে বেশি পরিমাণে আয় করার জন্য মাঝে মাঝে কিছু রুলস্ বা কন্ডিশন ফলো করতে হয়। যেমন ট্রেড করে দেওয়া ইত্যাদি রুলস্ থাকে, এসব রুলস্ পূরণের জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন পরে। তবে এসব টাকা এয়ারড্রপ থেকে আয় করা টাকা দিয়েই করতে পারেন।
শুধুমাত্র বেশি আয় করা জন্য এসব রুলস্ বা কন্ডিশন ফলো করতে পারেন। আর আপনি চাইলে এসব ইনভেস্ট না করেও আয় করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে আয় একটু কম হবে।
এয়ারড্রপ থেকে আয় করা টাকা কিভাবে উঠাবো?
এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম করা টাকা খুব সহজে আপনারা উঠাতে পারবেন। অনলাইনে অনেক বায়-সেল সাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে আয় করা ক্রিপ্টো খুব সহজে সেল করে বাংলা টাকা করতে পারবেন।
এছাড়াও অনেক সোশ্যাল গ্রুপে ক্রিপ্টো ডলার বায়-সেল হয়। যে গ্রুপগুলোতে সহজে ক্রিপ্টো ডলার বিক্রি করে বিকাশ, নগদ, রকেট বা ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন।
আমরা সকলেই ফেইসবুক কিংবা ইউটিউবে অনেক সময় ব্যয় করে থাকি শুধুমাত্র চ্যাটিং বা ভিডিও দেখে। আপনারা যারা এ ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে বলবো শুধুমাত্র চ্যাটিং বা ভিডিও দেখে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।
আপনারা অবসর সময়ে এয়ারড্রপে কাজ করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারেন। এটে আপনাদের পকেট খরচ এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।