যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা অনলাইন মুদ্রার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছি এটা আমাদের মানতেই হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা দেখতে পাবো বর্তমান অনলাইন মুদ্রা ব্যবহারকারীর চাইতে কয়েকগুণ ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাবে। আপনারা সকলেই জানেন অনলাইন মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বিটকয়েন।
কারণ বিটকয়েন সর্বপ্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্ম দিয়েছে সেক্ষেত্রে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়া স্বাভাবিক। আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইন মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিজেদের ব্যক্তিগত ওয়ালেটে জমিয়ে রাখছি এবং লেনদেন করছি।
যারা অনলাই ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে বেশি দিন সংশ্লিষ্ট একমাত্র তারাই জানে অনলাইন মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি জমিয়ে রাখার ভালো ওয়ালেট সম্পর্কে। আজ আলোচনা করবো বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম, Trust Wallet সম্পর্কে।
আপনারা যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে নতুন এসেছেন তারা এই Trust Wallet টি ব্যবহার করতে পারেন নিজেদের অনলাইন মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি জমিয়ে রাখার জন্য। বর্তমান সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ড অর্থাৎ জমিয়ে রাখা খুবি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বাড়ে এবং কমে। তবে যারা হোল্ড করে তারা বভিষ্যতে দাম বাড়লে বিক্রি করবে সেই আশায় হোল্ড করে থাকে। কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি যখন বেশি মানুষ ব্যবহার করে তখন সেই ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম বৃদ্ধি পায়।
যেমন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বিটকয়েন। যার কারণে বিটকয়েনের দাম অনেক বেশি। যারা বিটকয়েন অনলাইন ক্রিপ্টো মার্কেটে আসার সময়কাল থেকে ব্যবহার করছে এবং নিজেদের ওয়ালেটে জমিয়ে রেখেছে তারা আজ অনেক টাকার মালিক হতে পেরেছে।
এখন হচ্ছে যতই দিন যাচ্ছে ততই বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বভিষ্যতে আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। যারা যতই ভালো মানের ক্রিপ্টো মুদ্রা নিজেদের ওয়ালেটে জমিয়ে রাখতে পারবে ততই বেশি টাকার মালিক হতে পারবে।
তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো Bitcoin একাউন্ট খোলার নিয়ম, Trust Wallet সম্পর্কে। যে ওয়ালেটে আমরা বিটকয়েন বা যেকোন ক্রিপ্টো মুদ্রা জমিয়ে রাখতে পারবো।
Trust Wallet / ট্রাস্ট ওয়ালেট
বর্তমান সময়ে Trust Wallet খুবি জনপ্রিয় একটি ক্রিপ্টো ওয়ালেট। যেখানে খুব সহজে যেকোন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমিয়ে রাখা যায়। এই ওয়ালেট খোলার সাথে সাথে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল করার দায়িত্ব আপনার হাতে থাকবে। কেউ আপনার ওয়ালেট ব্যবহার করতে পারবে না যদি হ্যাক কিংবা অ্যাক্সেস করতে না পারে।
সেক্ষেত্রে ওয়ালেট সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার ওয়ালেট কেউ অ্যাক্সেস বা হ্যাক করতে না পারে।
ওয়াল্টে খোলার প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে ১২ অথবা ২৪ ডিজিটের মেনেরিক কি বা রিকভারি সীড প্রেস দিবে সেগুলো আপনার যেখানে সুরক্ষিত মনে হয় সেখানে রাখবেন যেন কেউ জানতে না পারে।
যদি কেউ জানে তাহলে আপনার ওয়ালেট অ্যাক্সেস করতে পারবে। তাই অবশ্যই আপনার Trust Wallet প্রেস কি সুরক্ষিত জায়গায় রাখবেন।
বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম, Trust Wallet
সর্বপ্রথমে Trust Wallet অ্যাপটি Google Play Store থেকে ইনস্টল করে নিবেন। আপনারা নিচে দেওয়া ছবিটি ফলো করে ইনস্টল করে নিতে পারেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন অনলাইনে অফিশিয়াল ওয়ালেটের মতো ফেইক অ্যাপ থাকতে পারে।
এরপর Trust Wallet অ্যাপে প্রবেশ করলে Create A New Wallet দেখতে পাবেন। Create A New Wallet বাটনে ক্লিক করবেন যেহেতু আপনি নতুন ওয়ালেট খুলতে চাচ্ছেন।
এরপর I’ve read and accept the Terms of Service and Privacy Policy তে ঠিক মার্ক দিবেন। ঠিক মার্ক দেওয়ার পর Continue বাটনে ক্লিক দিবেন।
এরপর ৬ ডিজিটের পাসকোড সেট করে নিবেন। প্রথমে একবার ৬ ডিজিটের পাসকোড দেওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার দিতে বলবে ২বার পাসকোড বসাবেন। আর হ্যা অবশ্যই পাসকোড যেন মনে থাকে।
কারণ ওয়ালেটে প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে পাসকোড দেওয়ার জন্য বলতে পারে।
এরপর I understand that if I lose my recovery words, I will not be able to access my wallet. তে ক্লিক করে Continue বাটনে ক্লিক করবেন।
এরপর Copy বাটনে ক্লিক করে ১২ ডিজিটের কোডটি আপনার সুরক্ষিত নোটপেটে সেইভ করে রাখবেন। অথবা আপনি আপনার সুরক্ষিত ডায়েরি বা খাতায় লিখেও রাখতে পারেন। কোডগুলো সেইভ করা হয়ে গেলে Continue বাটনে ক্লিক করুন।
এর পরবর্তি পেইজে আপনাকে পূর্বের পেইজে যে Recovery phrase কি দিয়েছে সেগুলো সেরিয়াল অনুসারে মিলাতে বলবে। আপনি আপনার সেই ১২ ডিজিটের Recovery phrase কি গুলো মিলিয়ে নিবেন। তারপর Done বাটনে ক্লিক করবেন।
ফাইনালি আপনি আপনার অনলাইন মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি রাখার জন্য ওয়ালেটটি খুলে ফেললেন। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কয়েন টোকেন হোল্ড করে রাখতে পারবেন। যখন খুশি তখন লেনদেন করতে পারবেন।
তবে আমি আপনাদেরকে বিটকয়েন হোল্ড করার জন্য Trust Wallet সাজেস্ট করবো না। কারণ Trust Wallet দিয়ে বিটকয়েন লেনদেন করতে গেলে ফি বেশি লাগে।
Bitcoin হোল্ড বা লেনদেন করার জন্য আপনি বাইনেন্স এক্সচেঞ্জার অথবা কয়েনবেস একাউন্ট খুলতে পারেন। কারণ বাইনেন্স এবং কয়েনবেস ব্যবহার করলে ফি লাগে না এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করার জন্য।
শেষ পর্যায়ে একটি কথাই বলবো আপনার যদি কয়েক হাজার বা লক্ষ-কোটি ডলারের বিটকয়েন থাকে তাহলে আপনারা Trust Wallet ব্যবহার করতে পারেন। কারণ Trust Wallet ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল আপনার হাতের মুঠোই থাকবে।
যদিও কিছু ফি বেশি যাবে লেনদেন করার জন্য। তবে আপনার বিটকয়েন ডলার সুরক্ষিত বেশি থাকবে। কিন্তু বাইনেন্স বা কয়েনবেস ব্যবহার করলে আপনার কাছে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল থাকবে না।
বাইনেন্স বা কয়েনবেস কোম্পানি চাইলে আপনার একাউন্ট যেকোন মুহূর্তে ব্যান অথবা ব্লক করে দিতে পারে।
আপনার যদি কম বিটকয়েন ডলার থাকে তাহলে Binance বা Coinbase ব্যবহার করবেন। বেশি ডলারের কয়েন বা টোকেন থাকলে অবশ্যই Trust Wallet ব্যবহার করবেন।