কানাডা যেতে হলে জানতে হবে কানাডা যাওয়ার খরচ। কেননা কানাডা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম একটি ধনী দেশ। আর বর্তমানে এই দেশে প্রায় অসংখ্য ধরনের টুরিস্ট যাচ্ছেন। কেননা এখানে রয়েছে অসংখ্য ধরনের সুন্দর সুন্দর জায়গা। যা ভ্রমণের জন্য সম্পূর্ণ ধরনের অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। আর তাছাড়াও কাজের ক্ষেত্রে অনেকেই যাচ্ছেন। তাই আপনি চাইলে কাজের জন্য কানাডা অবশ্যই যেতে পারেন।
কানাডা যাওয়ার খরচ
কানাডা যাওয়ার জন্য বেশ কিছু ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা খরচ বহন করতে হবে একজন কানাডা যাত্রীকে। অবশ্যই আপনি দেখে নিবেন কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি। তারপর এই ধারণা অর্জন করতে পারবেন আপনার জন্য কত খরচ হতে পারে কানাডা যেতে।
তবে আপনার কাছে ৫ লক্ষ টাকার মতো অবশ্যই থাকতে হবে কানাডায় যেতে চাইলে। তবে যদি সাথে করে বাচ্চাকে নিতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আরো বেশি টাকা বা দ্বিগুণ অর্থাৎ দশ লক্ষ টাকা সাথে রাখতে হবে। আর্টিকেলে আলোচিত সকল বিষয় অনুসরণ করুন। এতে করে কোন দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি
আপনারা হয়তোবা জানেন কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি বেশ কয়েকটি আছে। আমরা সকল ক্যাটাগরির সম্পর্কে নিজে তুলে ধরলাম এবং বিস্তারিত আলোচনা করছি অবশ্যই।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- জব ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- শ্রমিক ভিসা
- মেকানিক্যাল ভিসা
- ফ্রি ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- ইমিগ্রেশন ভিসা
- কৃষি ভিসা
- লেবার ভিসা
উপরের সকল ভিসার ক্যাটাগরি গুলো আলাদা আলাদা। তাই অবশ্যই খরচ গুলো আলাদা আলাদা ভাবে তা কিন্তু আপনি বুঝতেই পারছেন। আর যারা মূলত কানাডায় চাকরির জন্য যাবেন তাদের জন্য অবশ্যই খরচ একটু কম হবে তা কিন্তু আপনারা অবশ্যই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। তাই বিস্তারিতভাবে সকল বিষয়গুলোর আলোচনা করা হয়তোবা আর দরকারই মনে করছি না।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডার ভিসা পেতে আপনাকে অবশ্যই নির্ধারিত এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে সঠিক পাতায় ভি প্রদান করার মাধ্যমে পেয়ে যাবেন কানাডার ভিসা। আর সেই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনি অনায়াসে আপনার ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন কানাডায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা হলে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট দরকার হবে। আমাদের অন্যতম এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
আর আপনি যদি সঠিকভাবে ভালো রেজাল্ট করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য রয়েছে কিছু অসাধারণ বৃত্তি। যার মাধ্যমে বিনামূল্যে আপনি কানাডায় পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।
কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং
কানাডার জব ভিসাটি প্রসেসিংহ হতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আর এই বিচারই করার জন্য অবশ্য একটু বেশি পরিমাণ খরচ আপনাকে বহন করতে হইতে পারে। এবং চাকরির জন্য অবশ্যই আপনার যোগ্যতার প্রয়োজন হতে পারে। সকল তথ্য সামগ্রী পূরণ করার পরে আপনি অবশ্যই আপনার কালারের ভিসা পূরণ করতে পারবেন। আর ফর্মটি কিভাবে পূরণ করবেন তা জানতে নিচের লেখাটি খুব ভালো করে পড়ুন।
কানাডা ভিসা আবেদন ফরম
আবেদন করার জন্য কিংবা ফ্রম টি পূরণ করার জন্য নিজের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে থাকেন।
- প্রথমেই প্রবেশ করুন – https://www.canada-visa-online.org/bn/visa
- এখানে আপনাকে সকল ইনফরমেশন গুলো পূরণ করতে হবে যা দেওয়া রয়েছে
উক্ত সকল ইনফরমেশন গুলো পূরণ করে ফেললে আপনার কানাডার ভিসার ফরমটি পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং আশা করি আপনি কিছুক্ষনের মধ্যে একটি কানাডা ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।
আর কানাডার ভিসা আবেদন প্রসেসিং হতে ৭২ ঘণ্টার মতো সময় নিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই অতি ধৈর্যের সঙ্গে আপনাকে এই সময়টুকু অপেক্ষায় রইতে হবে।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
কানাডা সরকার অভিবাসীদের বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তাদের দেশে যাওয়ার জন্য। তাই প্রতিবছর বিভিন্ন কাজের জন্য মানুষেরা কানাডাতে পাড়ি জমাচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন সরকারিভাবে আবার কেউ যাচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে।
তবে জানলে অবাক হবেন দেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যক্তিগতভাবে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি চাইলে আপনি সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারবেন। তাছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক গেলে আপনাকে অতি কম খরচে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। তাহলে চলুন জেনে আসি সরকারি ভাবে যাওয়ার নিয়ম।
আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইছেন তা হলে আপনাকে সর্ব শুরুতে যেটা করতে হবে সেটি হল কানাডাতে থাকা কোম্পানি ও বিভিন্ন সেক্টরের ওয়েবসাইটগুলোতে আপনাকে রোজ অক্ষি রাখতে হবে। রিজন তারা বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরির নানারকম সার্কুলার দিয়ে থাকে। এবং আপনি আপনার দেশে এরূপ অনেক পত্রিকা পেয়ে যাবেন যেখানে কানাডা চাকরি জনিত পর্যাপ্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে।
একজন স্কিলফুল কর্মী হিসেবে আপনি কানাডাতে যাওয়ার জন্য আপনার প্রাইমারি কাজ হবে আপনার নাম নিবন্ধন করা। তার জন্য আপনাকে আপনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যেতে হবে ও সেখানে প্রবাসী সাহায্য শাখা অধিদপ্তরের সমুদয় নিয়ম-নীতি মেনে প্রয়োজনীয় Documents জমা করতে হবে। সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকতে হবে। যদি আপনার কাছে কোন পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনি শুরুতে আপনার ১টি Passport তৈরি করুন।
একবার পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে অর্থাৎ আপনি যখন পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন তখন সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করুন। আপিলের সময় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র কালেক্ট করতে হতে পারে। ওই সময় আপনাকে আপনার মেডিকেল চেকআপ করতে হলে হবে। রিজন সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার মেডিকেল রিপোর্ট এবং জনশক্তি মন্ত্রণালয় হতে Clearance Paper প্রয়োজন হবে।
সর্বশেষঃ আশা করছি, উপরের আলোচনার মাধ্যমে কানাডায় যাওয়ার খরচ এবং বাকি সকল কিছু জেনে গেছেন। আরো কিছু জানার বাকি থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন। আপনার কমেন্টের রিপ্লাই আমরা দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।।